অন-লাইন ইনকাম
এখনকার সময়ের পরিস্থিতি এমন যে ঘুম থেকে উঠেই মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করছে। আর এই ইন্টারনেট ব্যাবহারের সময়ে এসে অনলাইন ইনকাম খুবি জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়রিয়েছে। অনলাইন থেকে আমরা বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারি। বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকেও অথবা ফ্রিল্যান্সিং করেও আমারা ভাল ইনকাম করতে পারি।
ফ্রিল্যান্সিং কি
ফ্রিল্যান্সিং মুলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ঘরে বসেই অনলাইন এ ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। অন্যান্য সাধারন চাকরীর মতোই, তবে ভিন্নতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এ আপনি আপনার ইচ্ছে মত কাজ করতে পারবেন যেখানে কোন বাদ্ধকতা থাকবে না। যেমন আপনার কাজ করতে ইচ্ছে না হলে আপনি কাজ নাও করতে পারেন আবার যখন ইচ্ছে হল তখন করলেন।
ফ্রিল্যান্সার হওয়ার কারন
- ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা
- বেকারত্ব থেকে সরে আসা
- সকলের জন্য উন্মক্ত একটি পেশা হওয়া
- যেকোনো সময়েই কাজ করার সুবিধা থাকাই
- প্রতারণা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকাই
- নিজের মন মত সেক্টর এ কাজ করতে পারার সুবিধা
- বিনামূল্যে কাজ শিখতে পারার সুবিধা ইত্যাদি
ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে উপার্জন করা যেতে পারে। এবং ব্লগ কে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ করা যেতে পারে।
ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন করবার জন্য বেশ কিছু উপায় দেওয়া হলো এখানে
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- বিজ্ঞাপন
- ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রোডাক্টের অফার
- সাবস্ক্রিপশন
- কোচিং
গুগল এডসেন্স (Google Adsense) হলো একটি এডভার্টাইজিং প্রোগ্রাম যা ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেল মালিকদের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার একটি মাধ্যম। এখনকার সময়ে এসে আমাদের যেকোনো পণ্য কেনা বা বিক্রি করার জন্য আমরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে থাকি। তার মধ্যে একটি হলো গুগল এডসেন্স। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস যেকোনো একটার বিজ্ঞাপন তুলে ধরতে পারি খুব সহজেই।
- বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
- পণ্য বিক্রয় করে আয়
- স্পন্সরশিপ থেকে আয়
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
ইউটিউব খুবই জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম। এখানে আমারা সকল ধরনের কনটেন্ট সার্চ করে পেয়ে থাকি। ইউটিউব এ মূলত ভিডিওর মাধ্যমে আয় করা যায় আমরা জেনে থাকি কিন্তু ইউটিউব এর ভিডিওর মধ্যে বিজ্ঞাপন দিয়েও আয় করা সম্ভব তবে এর জন্য আপনার ইউটিউব এর ভিউয়ারস সংখ্যা থাকতে হবে অবশ্যই।
পণ্য বিক্রয় করে আয়
আমাদের যদি কোনো পণ্য বা প্রোডাক্ট থেকে থাকে আর আমরা সেইটাকে সেল করতে চাই বা আমাদের সেই প্রোডাক্ট টা দেখানোর মাধ্যমে ব্যবসা করতে চাই তাহলে ইউটিউব আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো একটি সাইট হতে পারে। আপনি যেই পণ্যটি বিক্রয় করতে চান তার একটি কনটেন্ট তৈরী করে ইউটিউব এ পাবলিশ করার মাধ্যম আপনি আপনার কাঙ্খিত পণ্যটি বিক্রয় করতে পারেন।
স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে আয়
যাদের ইউটিউব চ্যানেলে অনেক বেশি ভিউয়ার এবং ফ্যান আছে তাদের জন্য অর্থ আয় করার আরেকটি অন্যতম উপায় হলো স্পন্সরশিপ। আপনাকে একটি কোম্পানি টাকা দিবে যেখানে আপনি সেই কোম্পানির কথা আপনার ভিডিওতে উল্লেখ করবেন এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিউয়ারসরা দেখে জানবে সেই কোম্পানি সম্পর্কে।
বিষয়টা এইরকম যে আপনার একটি টিভি চ্যানেল আছে আর সেখানে বিজ্ঞাপন প্রচার এর জন্য কেউ আপনাকে পেমেন্ট বা অর্থায়ন করছে। তবে এইভাবে আয় করার জন্য অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিউয়ার্স বেশি হতে হবে। এবং আপনি যেই ভিডিওগুলো ইউটিউব এ পাবলিশ করবেন সেইগুলোতে ভিউার্সদের কাছে আপনি স্পন্সরশিপ হয়ে সেই কোম্পানি সম্পর্কে উল্লেখ করতে পারবেন।
বর্তমান ডিজিটাল পৃথিবীতে ফেসবুক মার্কেটিং বিষয়ে গেন থাকা খুবই প্রয়োজনীয় একটি দক্ষতা।
যেকোনো ধরনের ব্যবসা দাড় করানোর কিংবা ব্যবসার উন্নতির জন্য ফেসবুক মার্কেটিং কে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম বলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় আট কোটির মতো মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তার মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন কোটি আশি লাখের মতো।
তাই এই সময় মার্কেটিং এর জন্য অন্যতম মাধ্যম এর একটি হলো ফেসবুক। আপনি চাইলে আপনার পছন্দ এবং দক্ষতা অনুযায়ী ফেইসবুকে মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। আবার ফেসবুক এ আমরা মাঝে মাঝে কোনো না কোনো বড় সেলিব্রিটিদের পণ্য প্রচারের জন্য পোস্ট দিতে দেখে থাকি। প্রতিটা পোস্টের বিনিময়ে তারা লাখ টাকা পেয়ে থাকে তেমনি ভাবে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে কোনো কোম্পানির জন্য পণ্য প্রচার করেও আয় করতে পারবেন তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার পেইজে ফলোয়ার সংখ্যা বেশি থাকতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url