স্মার্ট টিভি কেনার আগে যে ১৬টি বিষয় আপনার জেনে রাখা উচিত

 স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয়? অবশ্যই আমাদের এ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত। কারণ আমাদের সবার বাড়িতেই টিভি রয়েছে। এখন আপনি যদি স্মার্ট টিভি কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত।

আপনি যদি স্মার্ট টিভি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয়? বিস্তারিতভাবে জেনে নিন এর পরে স্মার্ট টিভি কিনতে যাবেন। আশা করি ভালো মানের একটি টিভি কিনে আনতে পারবেন।

 সূচিপত্রঃ স্মার্ট টিভি কেনার আগে আমাদের করণীয়

  • স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয়
  • স্মার্ট টিভিতে কি কি করা যায়
  • স্মার্ট টিভি ও এন্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পার্থক্য
  • স্মার্ট টিভি ও সাধারণ টিভির মধ্যে পার্থক্য
  • স্মার্ট টিভি চালানোর নিয়ম
  • স্মার্ট টিভির বৈশিষ্ট্য
  • স্মার্ট টিভির সুবিধা
  • স্মার্ট টিভির অসুবিধা
  • ভালো ব্র্যান্ডের স্মার্ট টিভি
  • আমাদের শেষ কথা

স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয়

স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয় এ বিষয়গুলো জেনে তারপরে আমাদেরকে টিভি কেনা উচিত। বর্তমান সময়ে আমাদের এই তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়াতে স্মার্ট টিভির খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি স্মার্ট টিভি সম্পর্কে কোন ধারণা ধারণা না রাখেন এবং কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

  • টিভির সাইজ
  • বাজেট
  • রেজুলেশন
  • ডাইনামিক রেঞ্জ
  • ডিসপ্লে প্রযুক্তি
  • কানেক্টিভিটি
  • অডিও কোয়ালিটি
  • ব্রান্ড সিলেকশন
  • ওয়ারেন্টি গ্যারান্টি

টিভির সাইজঃ আপনার রুমের সাইজ অনুযায়ী আপনার টিভির সাইজ নির্ধারণ করতে হবে। রুমের চাইতে যদি বড় টিভি নেওয়া হয় তাহলে রুম দেখতে অনেকটাই খারাপ লাগে। যেন এই খারাপটা না লাগে সাধারণত তাই আপনাকে টিভির সাইজ দেখে কিনতে হবে।
বাজেটঃ টিভি কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে বাজেট নির্ধারণ করে নিতে হবে। সাধারণত আপনার বাজেট যেমন থাকবে আপনি সেই ব্র্যান্ডের এবং সে দাম অনুযায়ী টিভি কিনতে পারবেন। তাই এই বিষয়টি আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখা উচিত।

রেজ্যুলুশনঃ আপনি যদি ভালো ছবি দেখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো রেজুলেশন যুক্ত টিভি কিনতে হবে। এক্ষেত্রে যত বেশি পিক্সেলের টিভি কিনতে পারবেন ছবি তত ভালো দেখা যাবে। যদি স্মার্ট টিভি কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়টি ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

ডাইনামিক রেঞ্জঃ আপনার টেলিভিশনের ডায়নামিক রেঞ্জ কত এ বিষয়টি জেনে টিভি কিনতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে এইচডিআর এমন একটি প্রযুক্তি সাধারণত এটি টিভির ভিডিও প্রয়োজনীয় কালার এবং আরো বাস্তবমুখী করে তোলে। আবার অতিরিক্ত হাই ডায়নামিক যুক্ত টিভি কেনা উচিত নয়।

ডিসপ্লে প্রযুক্তিঃ যেকোনো ডিভাইস না কেন আপনাকে অবশ্যই ডিসপ্লে ভালোভাবে দেখে কিনতে হবে সেটা হোক মোবাইল অথবা টেলিভিশন অথবা কম্পিউটার। স্মার্ট টিভি আপনাকে কেমন ভিডিও এটা নির্ভর করে আপনার ডিসপ্লে প্রযুক্তির ওপর। তাই অবশ্যই ভালো মানের ডিসপ্লে যুক্ত টিভি কিনতে হবে।এলইডি কিংবা এলসিডি ডিসপ্ল যুক্ত টিভি গুলো সব থেকে বেশি সাধারণ এবং এবং মূল্য সাশ্রয় হয়ে থাকে।

কানেক্টিভিটিঃ আপনি যত স্মার্ট টিভি কিনছেন তো আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজন টিভির সংযোগ দেওয়ার পোট গুলো ভালোভাবে দেখে কিনতে হবে। সাধারণত এই টিভি আপনি যখন চাইবেন এটিকে গেমিং ডিভাইস পরিবর্তন করতে পারবেন আবার পরে টিভিতে রূপান্তরিত করতে পারবেন।

অডিও কোয়ালিটিঃ টিভি কেনার সময় অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে যে আপনার পছন্দ করার টিভির ভিডিও কোয়ালিটি কেমন? এছাড়া ভালো সাউন্ড দেয় কিনা এই বিষয়গুলো ও আপনাকে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

ব্র্যান্ড সিলেকশনঃ বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্র্যান্ডের স্মার্ট টিভি পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে বেশকিছু ব্রান্ড রয়েছে যেগুলো ভালো মানের টিভি তৈরি করে থাকে তাই আপনাকে অবশ্যই সে ভালো ব্রান্ডের টিভি কিনতে হবে।

ওয়ারেন্টি গ্যারান্টিঃ টিভি কেনার সময় অবশ্যই দোকানদারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে যে আপনার টিভির ওয়ারেন্টি এবং গ্যারান্টি কত? সাধারণ টিভি গুলোতে দুই বছরের ওয়ারেন্টি দেওয়া থাকে এবং সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি দেওয়া থাকে।

স্মার্ট টিভিতে কি কি করা যায়

স্মার্ট টিভিতে কি কি করা যায়? আমরা অনেকেই জানিনা। বিশেষ করে যারা স্মার্ট টিভি সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখে না সাধারণত তাদের এই বিষয়গুলো জানা নেই। বর্তমান সময়ে স্মার্ট টিভি হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ সবার বাড়িতে এই টিভি গুলো দেখা যায়। আপনি যদি স্মার্ট টিভি কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখা উচিত যে স্মার্ট টিভিতে কোন কাজ গুলো করা যায়।

আপনার বাড়িতে যদি একটি স্মার্ট টিভি থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই যে কাজগুলো মোবাইলে করতে পারেন এই সবগুলো টিভিতে করতে পারবেন। তবে আগে থেকেই আপনাকে এই বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে কারণ অনেক সময় না জানার কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের ভুল করে থাকি। আপনার স্মার্ট টিভিতে যদি ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া ওয়াইফাই সংযুক্ত করার থাকে তাহলে ইন্টারনেটের যাবতীয় কাজ করা যাবে।

আপনি এখানে youtube ব্যবহার করতে পারবেন। যদি চান তাহলে বিভিন্ন ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারবেন এবং সেখান থেকে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকতে পারবেন। এছাড়া গুগল ব্যবহার করা যাবে স্মার্ট টিভির মাধ্যমে যদি ইন্টারনেট সংযোগ করা থাকে তাহলে। মোবাইলে যে সকল কাজ করতে পারেন যাবতীয় কাজ স্মার্ট টিভিতে করতে পারবেন যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাকে।

স্মার্ট টিভি ও এন্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পার্থক্য

স্মার্ট টিভি ও এন্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পার্থক্য আছে। যা আমাদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজানা। সাধারণত স্মার্ট টিভি এবং অ্যান্ড্রয়েড টিভিকে আমরা একই মনে করে থাকি কিন্তু এই দুইটি ভিন্ন রকম দুইটি ডিভাইস। এদের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে যা এদেরকে পৃথক করে দিয়েছে। তাহলে চলুন তাদের মধ্যে পার্থক্যগুলো জেনে নেওয়া যাক।

স্মার্ট টিভিঃ স্মার্ট টিভি হল সেটি যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আপনি সকল ধরনের কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ফাংশন থাকে স্মার্ট টিভিতে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অপারেটিং সিস্টেম, টিভি অ্যাপস ডাউনলোড করা, ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেটের যাবতীয় কাজ করা। যেকোনো ধরনের অ্যাপস এখানে ডাউনলোড করে আপনি ইন্টারনেট সংযোগ এর মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন।

এন্ড্রয়েড টিভিঃ সাধারণত স্মার্ট টিভির আরেকটি ভার্সনকে এন্ড্রয়েড টিভি বলা হয়। এই টিভি পরিচালনা করার জন্য সেটআপ বক্স এবং মিডিয়া স্ট্রিম পরিষেবা দিয়ে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এই অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে এন্ড্রয়েড এর নতুন সকল ধরনের ফিচার যুক্ত থাকে। ব্যবহারকারী এখানে android এর সকল ধরনের অ্যাপস ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে।

স্মার্ট টিভি ও সাধারণ টিভির মধ্যে পার্থক্য

স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয়? সাধারণত এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা স্মার্ট টিভি ও সাধারণ টিভির মধ্যে কি পার্থক্য আছে এ বিষয়গুলো জানব। অনেক মানুষ সাধারণ টিভি ব্যবহার করে কিন্তু সাধারণ টিভি এবং স্মার্ট টিভির মধ্যে পার্থক্যটা কি এ বিষয়ে তাদের কোন ধারণা নেই। তাহলে চলুন স্মার্ট টিভি কেনার আগে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি যে স্মার্ট টিভিতে আপনি যেকোনো ধরনের কাজ করতে পারবেন বিশেষ করে ইন্টারনেট সংযোগ করা থাকলে ইন্টারনেটের যাবতীয় কাজ খুব সহজে করা যাবে। সাধারণত এখানে আপনি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারবেন এমনকি ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন এছাড়া youtube সহ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে পাবেন।
কিন্তু সাধারণ টিভিতে এ ধরনের কাজগুলো করা যাবে না। সাধারণ টিভিতে আপনি শুধুমাত্র ডিসের লাইনে যে সকল চ্যানেল দেখানো হবে সাধারণত সেগুলো দেখতে পাবেন। এর বাইরে নিজের ইচ্ছা মত যে কোন ধরনের গান অথবা ভিডিও দেখতে পাবেন না। এটি হচ্ছে সাধারণ টিভি এবং স্মার্ট টিভির মধ্যে প্রধান পার্থক্য। এছাড়া কোন অপারেটিং সিস্টেম সাধারণ টিভির মধ্যে নেই।

স্মার্ট টিভি চালানোর নিয়ম

স্মার্ট টিভি চালানোর নিয়ম সম্পর্কে এখন জানবো। আপনি যদি স্মার্ট টিভি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এ বিষয় গুলো জেনে রাখতে হবে। কারণ আপনি যদি সঠিকভাবে স্মার্ট টিভি চালাতে না পারেন তাহলে এটি নিয়ে কি লাভ? তাই আগে আপনাকে স্মার্ট টিভি কিভাবে পরিচালনা করতে হয় সেগুলো জেনে নিতে হবে।

স্মার্ট টিভি সকল বিষয় সেটা করার পরে আপনাকে পাওয়ার সাপ্লাই দিতে হবে এরপর আপনাকে সেটিকে অন করতে হবে। টিভির সাথে যে রিমোটটি দেওয়া হয় সেটি দিয়ে আপনাকে কন্ট্রোল করতে হবে। যদি আপনার বাসায় ওয়াইফাই থাকে তাহলে ওয়াইফাই কানেকশন দিতে হবে অথবা ডিস লাইন থাকলে ডিস লাইন কানেকশন দিয়ে টিভি চালাতে হবে।

টিভিতে আপনি পেনড্রাইভ দিয়েও যেকোনো ধরনের ভিডিও এবং মুভি দেখতে পারেন। এখন ওয়াইফাই কিভাবে ব্যবহার করা যায় এ বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক। কারণ ওয়াইফাই কানেকশন দিয়ে আপনি যেকোনো ধরনের ইন্টারনেট এর কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি আপনার মোবাইলের ইন্টারনেট দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। যেভাবে আপনি মোবাইলে ওয়াইফাই কানেকশন করেন সেভাবে টিভিতে করতে হবে।

স্মার্ট টিভির বৈশিষ্ট্য

স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয়? সে সম্পর্কে আমরা জেনেছি। কিন্তু আপনি কি স্মার্ট টিভির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানেন। যদি আপনি স্মার্ট টিভি কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে হবে। কারণ সাধারণ টিভির চাইতে স্মার্ট টিভির অনেক বৈশিষ্ট্য আছে যা আমরা অনেকেই জানিনা।

স্মার্ট টিভির প্রধান এবং আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো আপনি এখানে ওয়াইফাই অথবা ইন্টারনেট সংযোগ করে ইন্টারনেটের যাবতীয় কাজ করতে পারবেন। আপনি ইউটিউব ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের মুভি এবং নাটক দেখতে পারবেন। সাধারণ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বসে থাকতে হবে না।

এছাড়া বেশ কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি যে কোন ধরনের চ্যানেল দেখতে পারেন। আপনি যদি চান তাহলে আপনার স্মার্ট টিভির মাধ্যমে আপনি ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন। সাধারণত ইন্টারনেটের সকল ধরনের কাজ করা যাবে বলে এটিকে স্মার্ট টিভি বলা হয়।

স্মার্ট টিভির সুবিধা

স্মার্ট টিভির সুবিধা সম্পর্কে জানব। যেহেতু আপনি স্মার্ট টিভি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেহেতু অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। কারণ একটি সাধারণ টিভির চাইতে স্মার্ট টিভির অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। তাই বর্তমান সময়ে মানুষ সাধারণ টিভির চাইতে স্মার্ট টিভি বেশি কিনে থাকে। স্মার্ট টিভির সুবিধা গুলো প্রথমে জেনে নেওয়া যাক।

  • ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে স্মার্ট টিভি দিয়ে আপনি স্মার্টফোনে যে সকল কাজ করতে পারেন সেই সবগুলো কাজ টিভিতে করতে পারবেন।
  • স্মার্ট টিভিতে যেকোনো সময় ইউটিউব ব্যবহার করা যাবে। যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের নাটক সিনেমা সহ বাচ্চাদের কার্টুন দেখাতে পারবেন।
  • স্মার্ট টিভিতে ফেসবুক ব্যবহার করা যাবে। যদি আপনার মোবাইলের সমস্যা হয় তাহলে আপনি জরুরী প্রয়োজনে মাত্র ব্যবহার করতে পারেন।
  • স্মার্ট টিভিতে পেনড্রাইভ ব্যবহার করে মুভি দেখা যাবে। এক্সট্রা কোন কিছু কেনার প্রয়োজন হবে না স্মার্ট টিভি থাকলে।
  • স্মার্ট টিভিতে আপনি রিমোটের সাহায্যে সকল ধরনের কাজ কন্ট্রোল করতে পারবেন। দাম কম হওয়ার শর্তেও এখানে আপনি অনেক বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

স্মার্ট টিভির অসুবিধা

স্মার্ট টিভির অসুবিধা গুলো জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত আমরা স্মার্ট টিভির সুবিধা বেশি হাইলাইট করে থাকি কিন্তু এর বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। অবশ্যই টিভি কেনার আগে আমাদের এই অসুবিধা গুলো জেনে নিতে হবে। যদি আপনি প্রথম স্মার্ট টিভি কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা নিয়ে রাখা উচিত।

স্মার্ট টিভির সব থেকে বড় সুবিধা হল এখানে বাচ্চারা সব সময় টিভির সামনে বসে থাকে। সাধারণত তারা সারাদিন কার্টুনসহ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে থাকে। এগুলো তাদের মানসিক বিকাশের উপরে প্রভাব ফেলে। মায়েরা বাচ্চাদের শান্ত করে রাখার জন্য যেকোনো ধরনের ভিডিও অথবা কাটুন দিয়ে তাদের টিভির সামনে বসিয়ে রাখে।

যদি আপনি ভালোভাবে সবকিছু বিষয়ে জেনে না নেন তাহলে অনেক সময় স্মার্ট টিভির কোন কিছু নষ্ট হয়ে গেলে সম্পন্ন টিভি অচল হয়ে পড়ে। এরপর থেকে আপনি কোন কিছুই এখানে ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই স্মার্ট টিভি কেনার আগে আপনাকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তারপরে কিনতে হবে।

ভালো ব্র্যান্ডের স্মার্ট টিভি

স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয় আছে এই করণীয় গুলো জেনে আমাদের অবশ্যই টিভি কেনা উচিত। আমাদের এই বাংলাদেশের ভালো ব্র্যান্ডের কিছু স্মার্ট টিভি রয়েছে অবশ্যই আমাদেরকে সেই ব্রান্ডের টিভি গুলি কিনতে হবে। যেহেতু টিভি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস তাই আমাদের অবশ্যই কেনার আগে এ বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে বিভিন্ন কোম্পানির স্মার্ট টিভি রয়েছে। নিচে কয়েকটি কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হলো সাধারণত আপনি চাইলে এই কোম্পানি গুলোর মধ্যে স্মার্ট টিভি কিনতে পারেন। আশা করি ভালো মানের স্মার্ট টিভি পাবেন।
  • Samsung
  • LG  
  • Panasonic
  • MI
  • Nokia
  • Philips
  • TCL smart
  • One plus y series LED smart tv

লেখকের শেষ মন্তব্য

স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয়? সাধারণত এ বিষয়গুলো আমাদের জেনে নিতে হবে। যেহেতু বর্তমান সময়ে স্মার্ট টিভির দাম অনেক বেশি বার বার কেনা সম্ভব নয়। একবার কিনলে যেন অনেক বছর চালাইতে পারি সেই হিসেবে আমাদের স্মার্ট টিভি কিনতে হবে। যে কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কিনতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে সেই বিষয়ে খুঁটিনাটি জেনে নিতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url