এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো জানুন
আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অবশ্যই এলার্জি জনিত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। নিজের এবং নিজের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? এ বিষয়ে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূচীপত্রঃ এলার্জি জাতীয় খাবার কোন গুলো বিস্তারিত জানুন
- এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো
- কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই
- এলার্জি জাতীয় সবজির তালিকা
- এলার্জি সমস্যা কমানোর উপায়
- এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া নিষেধ
- এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া যাবে
- এলার্জি রয়েছে এরকম মাছ কোনগুলো
- এলার্জি সমস্যা হলে আমাদের করণীয়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো
দুধ -- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তিন বছরের শিশুদের গরুর দুধের মধ্যে এলার্জি থাকে। আবার অনেক সময় বড়দের ক্ষেত্রেও গরুর দুধের মধ্যে এলার্জি লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত তাই গরুর দুধকে এলার্জি জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গম -- যে সকল এলার্জি জাতীয় খাবার রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গম। সাধারণত আমরা বেশিরভাগ সময়ে গমের তৈরি আটার রুটি খেয়ে থাকে। তাই আর সময় আমাদের শরীরে এলার্জি সমস্যা দেখা যায়।
ডিম -- দুধের মত ডিমের মধ্যেও এলার্জির মত সমস্যা রয়েছে। সাধারণত বেশিরভাগ শিশুরা দুধের মতই ডিমের এলার্জির সমস্যায় ভুগে থাকে। সাধারণত থাকি ডিম কে এলার্জি জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সয়া -- তারপর অনেক শিশুদের ক্ষেত্রে সয়া থেকে এলার্জির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তবে এইসব এলার্জি শিশুদের একটা নির্দিষ্ট বয়স হওয়ার পরে কমতে শুরু করে।
ফল ও সবজি -- আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বেশ কিছু ফল এবং সবজির মধ্যে এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে। সাধারণত এই সবজি গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বেগুন, গাজর, টোম্যাটো, পিচ, কলা ইত্যাদি।
বাদামের মধ্যে এলার্জি থাকা -- সাধারণত আমরা অনেকেই বাদাম খেতে পছন্দ করে থাকি। তবে বাদাম আমাদের জন্য এলার্জি সমস্যা বয়ে আনতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম কাজু, পেস্তা, আমন্ড, আখরোট, ব্রাজিল নাটে মধ্যে এলার্জি জনিত সমস্যা থাকতে পারে।
সামুদ্রিক মাছ -- অনেক সময় আমাদের শরীরে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে এলার্জি দেখা যায়। আমরা যখন সামুদ্রিক মাছ খেয়ে থাকি তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। সাধারণত তাই সামুদ্রিক মাছকে এলার্জি জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই
এলার্জি জাতীয় সবজির তালিকা
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? এ বিষয় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি। সাধারণত আমরা আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সবজি খেয়ে থাকি। তবে বিভিন্ন সবজির মধ্যে এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা যায়। আপনি যদি অতিরিক্ত সবজি খেয়ে থাকেন এবং আপনার এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে কোন সবজির মধ্যে এলার্জি রয়েছে সেই বিষয়টি জেনে নিন।
আমাদের শরীরের মধ্যে যদি ক্ষতিকর কোন বস্তু থাকে তাহলে সেটিকে প্রতিরোধ করার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চেষ্টা করতে থাকে। সাধারণত এই প্রক্রিয়াকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলা হয়। শালারা তো অনেক সময় আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় কিন্তু ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধ করতে যান যার ফলে উল্টা প্রক্রিয়া হয়ে থাকে। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এ ধরনের বস্তুর প্রতি শরীরের যে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে তাকে এলার্জি বলা হয়।
- পুঁইশাক
- বেগুন
- সিম
- কদু
- গাজর
- টমেটো
- ফুলকপি
- লাল আলু
- বাঁধাকপি
- কুমড়া
- পেঁপে
- কচুর শাক
- পালং শাক
এলার্জি সমস্যা কমানোর উপায়
- বিভিন্ন ধরনের এলার্জি হয়ে থাকে। আপনার যদি নাকে এলার্জি থাকে তাহলে আপনি যখন বাইরে যাবেন তখন অবশ্যই নাকের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার করবেন।
- সাধারণত আপনি যখন বাইরে যাবেন তখন নাকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন যাতে করে আপনি আবহাওয়ার সাথে অনেকটা নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন এবং আপনার এলার্জি জনিত সমস্যা হবে না।
- অনেক সময় ঠান্ডা লাগার কারণে এলার্জিজনিত সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আপনার উচিত ঠান্ডা মেঝেতে খালি পায়ে না হাঁটা। যখন ঠান্ডা মেঝেতে হাটবেন তখন অবশ্যই স্যান্ডেল পড়ে হাঁটবেন।
- যদি এলার্জির জনিত সমস্যা দেখা যায় তাহলে সম্পূর্ণ শরীরে র্যাশ বের হতে পারে। অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
- আবার অনেকের ক্ষেত্রেই গরমের সময় অতিরিক্ত গরমে এলার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে তাই সবসময় নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।
- বেশ কিছু খাবারের মধ্যে এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে সেই খাবার গুলো আমাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে। আর কোন খাবারের মধ্যে এলার্জি থাকে সেগুলো ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।
এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া নিষেধ
এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া যাবে? সেই বিষয়েও আমাদেরকে মধ্যে আলোচনা করেছি। সাধারণত যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা কোন ধরনের খাবার গুলো খাবে এ বিষয়টি নিয়ে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকে। কারন এই খাবার খেলে তাদের এলার্জি জনিত সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই কোন খাবারগুলো খেতে পারবেন যদি আপনার এলার্জি হয়ে থাকে তার পরেও সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
এলার্জি হলে আপনি কলা এবং বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন কারণ এই ফলগুলোর মধ্যে কোন ধরনের এলার্জিজনিত সমস্যা নেই। যদি এলার্জি থাকে তাহলে কমলা লেবু অর্থাৎ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো খেতে পারেন। এই খাবার খেলে কখনো এলার্জি সমস্যা বাড়বে না আরো কমবে। আদা চা, গ্রিন টি অথবা শসা খেলে এলার্জি জনিত সমস্যা বাড়েনা। তাই আপনি নিঃসন্দেহে এই খাবারগুলো খেতে পারেন। শুধু যে খাবার গুলো নিষেধ করা হয়েছে সেই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকুন।
এলার্জি রয়েছে এরকম মাছ কোনগুলো
- পুঁটি মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- তেলাপিয়া মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- চিংড়ি মাছের মধ্যে সবথেকে বেশি এলার্জি থাকে
- টুনা মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- ইলিশ মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- ভেটকি মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- বোয়াল মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- চিতল মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
- কট ফিস এর মধ্যে এলার্জি থাকে
- বেশ কিছু সামুদ্রিক ফিসের মধ্যে এলার্জি থাকে
এলার্জি সমস্যা হলে আমাদের করণীয়
অনেক সময় বাইরের ধুলোবালি আমাদের নাক এবং মুখ দিয়ে প্রবেশ করে এলার্জিজনিত সমস্যার সৃষ্টি করে। সাধারণত আমরা যখন বাইরে যাব তখন অবশ্যই আপনাকে এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করব। এতে করে কোন উপকারের ময়না জীবাণু অথবা ধুলোবালি আমাদের না এবং মন থেকে প্রবেশ করতে পারবেনা। তাই এই বিষয়গুলো অবশ্যই আমাদেরকে সতর্কতার সাথে মেনে চলতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url