গুগল অ্যানালিটিক্স কি
সুচিপত্রঃ গুগল অ্যানালিটিক্স কি
- গুগল অ্যানালিটিক্স কি
- গুগল অ্যানালিটিক্স বিভিন্ন অংশের পরিচয়
- ওয়েবসাইটে ভিজিটর এর প্রকার
- গুগল অ্যানালিটিক্স এর অন্যান্য পরিচিতি
- গুগল অ্যানালিটিক্স সেটআপ করার নিয়ম
- গুগল অ্যানালিটিক্স পেমেন্ট কি
- গুগল অ্যানালিটিক্স প্রতি বছর খরচ
- গুগল অ্যানালিটিক্স টুল
- গুগল অ্যানালিটিক্স 4 কিসের জন্য
- গুগল অ্যানালিটিক্স এর বর্তমান সংস্করণ
- লেখকের শেষ মন্তব্য
গুগল অ্যানালিটিক্স কি
গুগল অ্যানালিটিক্স কি এবং এর বিস্তারিত পরিচয় জানলে আপনি খুব সহজেই গুণ অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটকে ডেভলপ করতে পারবেন। গুগল অ্যানালিটিক্স কি তা জানা আবশ্যক, গুগল অ্যানালিটিক্স হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ বিচার করে ওয়েবসাইটিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
একটা ওয়েবসাইটে কি পরিমাণ ভিউয়ার আসে এবং কি ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে এর সঠিক বিশ্লেষণ করে। দেখা যায় যে কোন ধরনের ট্রাফিক এসে আপনার ওয়েবসাইটটি ভিউ করে এবং কোন কোন ব্রাউজার থেকে ওয়েবসাইট ভিউ করার মাধ্যমে আপনি নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন সে সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও এর বিভিন্ন টুলস জেনে ব্যবহার করে জানতে পারবেন কোন কোন দেশ থেকে ওয়েবসাইটটি দেখছে।
গুগল অ্যানালিটিক্স এই টুলসটি ব্যবহার করেন তাহলে গুগল অ্যানালিটিক্সস সম্পর্কে জানা দরকার কারণ এটি ওয়েবসাইট টুলস, বিশ্লেষণ করার আরো অনেক টুলস রয়েছে কিন্তু সবচাইতে গ্রহণযোগ্য এবং ব্যবহারকারী ব্যবহারযোগ্য টুল হচ্ছে গুগল অ্যানালিটিক্স। আপনিও গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার সকল ভিজিটর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে আপনার ওয়েবসাইটটিকে ভালো একটি ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে পারবেন।
গুগল আনালিটিক্স বিভিন্ন অংশের পরিচয়
গুগল অ্যানালিটিক্স কি এবং এর বিভিন্ন অংশের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাবেন, কতজন ভিজিটর আছে বর্তমানে এবং কোন ভিজিটর কতক্ষণ সময় আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে। কি ধরনের কনটেন্ট পড়ছে এবং কোন কনটেন্টটি কতজন পড়ছে এর সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। চলুন চিনে নেওয়া যাক গুগল এনালাইটিক্স এর বিভিন্ন কার্যকলাপ।
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের সাথে গুগল অ্যানালিটিক্স যুক্ত করে থাকেন তাহলে এ সকল তথ্য আপনি গুগল এনালিটিক্স এর মাধ্যমে দেখতে পারবেন। যদি সাবমিট করা না থাকে তাহলে দেখতে পাবেন না ওয়েবসাইট দিয়ে গুগল অ্যানালিটিক্স এ সাবমিট করতে হবে। তাহলে চলুন আগে জেনে নিন কিভাবে কোন বিষয়টি কাজ করে এবং কি ধরনের উপকার পাওয়া যায়।
গুগল অ্যানালিটিক্স এ প্রবেশ করলে আপনি প্রথমে যেই ইন্টারফেসটি দেখতে পাবেন, যেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেওয়া আছে যেমন, user 100k ,session 100k,Bounce rate ,72%,session Duretion,1m 41s, এই বিষয়গুলো এবং এর মধ্যে কোনটার কি কাজ সেটা জেনে নিন। তাহলে ব্যবহার করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
User 100: এটি হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের গত সাত দিনে কতজন ভিজিটর এসেছে তার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ। এখানে একজন ভিউয়ারের জন্য একবারই গণনা করা হয়।
Session 100: যখন কোন একজন ইউজার আপনার ওয়েবসাইটে এসে প্রবেশ করবে তখন থেকে সেশন শুরু হয়। আবার যখন কোন ভিউয়ার সেই ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যায় তখন সেশনটা শেষ হয়ে যায়। যে পরিমাণ ভিউবার থাক তারা যেই পোস্টগুলো বা আর্টিকেলগুলো পড়বে তার সবগুলোই সেশন হিসেবে কাউন্ট হবে কিন্তু একজন ভিউয়ার অনেক দেখা যাচ্ছে কখনো ব্লগপোস্ট দেখে।
আবার কোন কিছু কেনাকাটা করে তখন একটি ভিউয়ারের ক্ষেত্রে দুইটা সেকশন তৈরি হয় এভাবে যদি 100 টা ভিউয়ার থাকে তাহলে তারা যদি গড়ে 1 থেকে দুইটি বা তিনটি ধরনের কাজ করে তাহলে তিনটি সেশন তৈরি হবে। এইভাবে সেশন গুলোকে গণনা করা হয়। আশা করি বোঝাতে পেরেছি সেশন বিষয়টা কি এবং কিভাবে সেশন ধরা হয়। ও কতজন ভিউয়ের থেকে কতজন সেশন তৈরি হতে পারে সে সকল বিষয়ে।
Bounce rate: বাউন্স রেট বলতে যা বোঝানো হয় সেটা হচ্ছে, মনে করুন আপনার ওয়েবসাইটে 100 জন ভিজিটর এসেছে এবং 100 জন ভিজিটরের মধ্যে থেকে 72 জন ভিজিটর শুধু একটি পোস্ট বা আর্টিকেল পড়েই বের হয়ে গেছে তাহলে আপনার ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট হবে 72, এবং 100 জনের ভিতরে যে আরো 28 জন বাকি আছে সেই 28 জন আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আর্টিকেল পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অন্য আরো কাজ করেছেন।
এছাড়া এর পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। যারা গুগল এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর চাই তাদের ওয়েবসাইটে বেশি বাউন্ড রেট দেখাই। মাউন্টেড কমানোর জন্য আপনার ওয়েবসাইটটিকে বিভিন্নভাবে অ্যাকটিভ করে তুলতে হবে এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে যাতে আপনার ওয়েবসাইটে কেউ প্রবেশ করলে সাথে সাথে একটি পোস্ট পড়ে বেরিয়ে না গিয়ে আরো বিভিন্ন পোস্ট করতে পারে সেই ধরনের কাজ করে রাখতে হবে।
Session Duretion: একটি ওয়েবসাইটে একজন ভিজিটর আসার পরে বিভিন্ন সেকশন দেখা বা পড়ার সময় কতক্ষণ সময় দিচ্ছে এবং সকল সময়ের গড় কে বলা হয় সেশন duretion, এই সেশন ডোনেশনের পরিমাণ যত বেশি হবে ততই ভালো। যদি অনেক বেশি হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে মানুষ ভিজিট করতে আসার পরে অনেক সময় ধরে ওয়েবসাইটে অবস্থান করে।
ওয়েবসাইটে ভিজিটর এর প্রকার
আমাদের ওয়েবসাইটে যে সকল ভিজিটর বা গ্রাফিক্স গুলো আছে সে সকল ভিজিটররা কত ধরনের হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন। আপনি ইচ্ছে করলে শেষ সাত বা শেষ এক মাসের ভিজিটর সম্পর্কে দেখতে পারবেন। যে কি ধরনের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে এসেছে তার একটি সুন্দর তালিকা যে তালিকা দেখার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোন ধরনের ভিতর আপনার ওয়েবসাইটে বেশি এবং কম।
Trafic channel: এই অপশনটি বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, চলুন জেনে নেই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ট্রাফিক চ্যানেলের মধ্যে যে বিষয়গুলো রয়েছে সে বিষয়গুলোর মধ্যে হলো organic search,derect, social, refferral,other এ সকল মাধ্যম দিয়ে একটা ওয়েবসাইটের মধ্যে ট্রাফিক বা ভিজিটর আসে। এবং এগুলো কোনটা কি ধরনের ভিজিটর নিয়ে আসে সেই বিষয় সম্পর্কে জানাবো আপনাদেরকে যাতে আপনারা বুঝতে পারেন।
Refferrel traffic: রেফারেল ট্রাফিক বলতে যেটা বোঝানো হয়েছে, মনে করুন একটি যেকোনো ওয়েবসাইটে একজন বলে রেখেছে যে আপনার ওয়েবসাইটে কিছু কাজ করা হয়, এবং সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে রেখেছে, এবং সেই লিংকটি দেখার মাধ্যমে সেই কাজটি করার জন্য যেই ভিজিটরটি আপনার ওয়েবসাইটে আসবে তাকে রেফারেল ট্রাফিক বলে। এশিয়ার ক্ষেত্রে এটাকে ব্যাকলিংক ট্রাফিক বলা হয়।
Social traffic: বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যদি আপনার ওয়েবসাইটে কেউ ভিজিট করে যেমন whatsapp, টুইটার, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এ সকল সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে যদি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া থাকে এবং সেই লিংকে যদি কেউ প্রবেশ করে আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে। তখন সেই সোশ্যাল ট্রাফিক বলে।
Direct traffic: যখন কোন ব্রাউজার থেকে সরাসরি ইউআরএল পেস্ট করে ওয়েবসাইট ভিজিট করা হয় বা আপনার ব্রাউজার বা যে কোন ব্রাউজার থেকে বুকমার্ক করে সেখান থেকে ভিজিট করা হয় তখন তাকে ডিরেক্ট ট্রাফিক বলে। এই ভিজিটর গুলো প্রতিনিয়তই আপনার ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করে। তাই তারা তাদের ওয়েবসাইট বা ব্রাউজার এ বুক মার্ক করে রেখে আপনার ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে।
Organic search: অর্গানিক সার্চ বলতে বোঝায়, অনেক সময় দেখা যায় মানুষ সরাসরি গুগল কিছু তথ্য বা কোন তথ্য জানার জন্য সার্চ দিয়ে থাকে এবং সে সার্চ দেওয়ার সময় যতজন আপনার ওয়েবসাইটটি পাবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে তাদেরকে বলা হয় ওই অর্গানিক সার্চ। যারা ব্লগার পোস্ট লেখার মাধ্যমে ব্লক পোস্ট পাবলিস্ট করেন তাদের ওয়েবসাইটে সবচাইতে বেশি অর্গানিক সার্চ করে।
গুগল অ্যানালিটিক্স এর অন্যান্য পরিচিতি
গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করার ফলে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে কোন কোন উপায়ে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসছে। কোন কোন দেশ থেকে আসছে, এছাড়াও দেখতে পারবেন যে কোন ব্রাউজারের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি বেশি ভিউ করা হচ্ছে, এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে আপনার ওয়েবসাইটটিকে উন্নত করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি জানতে পারবেন যে আপনার ওয়েবসাইটে কোন ধরনের ভিজিটর কোন সময় আসে এবং কোন সময় বেশি ভিজিটর থাকে, আরো জানতে পারবেন যে কোন সময় আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট পাবলিশড করলে বেশি ভিজিটর পাওয়া যাবে। এ সকল যাবতীয় তথ্য জানার জন্য আপনাকে গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট থেকে একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন।
উল্লেখিত সকল সুবিধা এবং সকল বিষয়ে জানার জন্য আপনাকে গুগল অ্যানালিটিক্স এ আপনার ওয়েবসাইট টি সাবমিট করতে হবে সাবমিট করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বা নীতিমালা মেনে গুগলে সাবমিট করতে হবে তাহলে আপনি এই সকল সুবিধাগুলো পাবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটকে খুব সহজেই একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
গুগল অ্যানালিটিক্স সেট আপ করার নিয়ম
প্রথম ধাপ: গুগল অ্যানালিটিক্স সেটআপ করতে হলে প্রথমে আপনাকে গুগল এ গিয়ে গুগল অ্যানালিটিক্স লিখে সার্চ করতে হবে। গুগল অ্যানালিটিক্স এর মেন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে, প্রবেশ করলে আপনার সামনে প্রথমে যে ইন্টারভিউটি চলে আসবে সেখানে লেখা থাকবে start measuring এখানে একবার ক্লিক করতে হবে,
দ্বিতীয় ধাপ: স্টার্ট মেজারমেন্ট নিয়ে ক্লিক করার পর আপনার সামনে চলে আসবে যে ইন্টারফেস সেখানে লিখা থাকবে my new account name, এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের নাম ব্যবহার করতে পারেন অথবা আপনার ওয়েবসাইটের নাম ব্যবহার করতে পারেন, এরপর নিচে দেওয়া থাকবে যে আপনি কোন কোন ধরনের অপশনের আপডেট পেতে চান সেগুলো নির্বাচন করে next করে দিন।
তৃতীয় ধাপ: প্রপার্টি ডিটেইলস ওখানে আপনার প্রপার্টি নাম বসাতে হবে, time report বাংলাদেশ দিতে হবে, currency দিতে হবে ইউএস ডলার, এবং এরপরে next করে দিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ: বিজনেস ইনফরমশন দিতে হবে, যেটা নিয়ে আপনি কাজ করেন সে ধরনের একটি নির্বাচন করে দিতে হবে, কোন ধরনের। বিজনেস সাইজ আপনার ওয়েবসাইটের কতজন এমপ্লয়ার কাজ করে এবং তার একটি নির্দিষ্ট তথ্য দিতে হবে। এরপর নিচের দিকে এসে। এ স্যার আপনি যে সকল কাজের জন্য আপনার গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করতে চান তা নির্বাচন করুন এবং create অপশনে ক্লিক করুন।
পঞ্চম ধাপ: কোন দেশের জন্য সিলেট করবেন সেই অপশনটি আসবে এবং সেখানে আপনার দেশের নামটি সেট করে দিন। এবং নিচের দিকে স্ক্রল করে আসলে দেখতে পাবেন দুটো টিক চিহ্ন দেওয়ার অপশন রয়েছে সেই দুটো টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে হবে। একটি টিক চিহ্ন দিলে হবে না দুটোই দিতে হবে। এরপর নিচে লিখা থাকবে, I Acxept সেখানে ক্লিক করতে হবে।
এরপর আপনার সামনে যে ইন্টারটি আসবে সেখানে লেখা থাকবে, my email communications, এবং সেখানে অনেক ধরনের অপশন দেয়া থাকবে আপনি চাইলে সেগুলো টিক দিতে পারেন তাহলে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন নোটিফিকেশন আসবে, না চাইলে রেখে দিতে পারেন। এবং সেখান থেকে সেফ অপশন আছে সেই সেপ অপশন এ সেভ করে দিতে হবে।
এবং এভাবে উল্লেখিত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে আপনি গুগল অ্যানালিটিক্স একাউন্ট খোলার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। এবং আপনার প্রয়োজনমতো বিভিন্নভবে ব্যবহার করার জন্য আরো একটি কাজ করতে হবে সেটা হচ্ছে গুগল অ্যানালিটিক্স এর এডমিন প্যানেলে আপনাকে নিয়ে আসবে। এবং সেখান থেকে chose প্লটফর্ম web দেওয়া থাকবে যেটা সেটা সিলেক্ট করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ: নতুন একটা ইন্টারফেস আসবে সেখানে লেখা থাকবে setup data stream এখানে https সিলেক্ট করতে হবে, এবং তার পাশে আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিতে হবে যেমন, www.rasedblogger.com দিতে হবে এবং পাশে একটি স্ট্রিম নেম বা ওয়েবসাইটের নেম দিতে হবে। এরপর আপনাকে Enhanced measurement anable করতে হবে, এবং নিচে দেওয়া থাকবে create stream এখানে ক্লিক করতে হবে।
সপ্তম ধাপ: ক্রেডিট স্টেম করার পর আপনার সামনে যে ইন্টারফেসটি আসবে সেখান থেকে আপনাকে measurement id কপি করে নিয়ে গিয়ে ব্লগার ওয়েবসাইটে পেশ করতে হবে, কিন্তু এর আগে আরো একটি কাজ করতে হবে সেটা হচ্ছে, google tag এ থেকে configure tag setting এ প্রবেশ করতে হবে, এবং নতুন একটি পেজ আসবে সেখানে instrafication instractions ক্লিক করতে হবে।
অষ্টম ধাপ: এবং আপনার সামনে আরেকটি নতুন ইন্টারফেস চলে আসবে সেখানে লিখা থাকবে install your Google tag এর নিচে দুইটা অপশন দেওয়া থাকবে একটি হলো install with a website builder এবং আরেকটা অপশন হচ্ছে install manually, আমর install manually অপশনটিতে ক্লিক করবো, এবং ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার সামনে একটি কোড চলে আসবে।
নবম ধাপ: সে কোডটি কপি করে আপনার ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে, এবং থিমের মধ্যে গিয়ে হেড সেকশনে সেই কপিটা পেস্ট করতে হবে। এবং সেভ করে দিতে হবে এখন আমরা আমাদের গুগল এনালাইটিক্স অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত তথ্য গুলো ট্র্যাক করতে পারবো যেহেতু আমরা এই মুহূর্তে কেবলই এক্টিভেট করলাম।
দশম ধাপ: উল্লেখিত সকল পর্যায় গুলো সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট টিকে গুগল অ্যানালিটিক্স এর মাধ্যমে সকল তথ্য দেখতে পারবো এবং বিভিন্নভাবে উন্নতি করার জন্য কাজ করতে পারবো, এবং আপনি যে মেজারমেন্ট আইডিটি কপি করেছিলেন সেটা থিমের মধ্যে গিয়ে মেজারমেন্ট আইডির জায়গাতে রিপ্লেস করে দিয়ে সেভ করে দিতে হবে। এবং আপনার কাজটি সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
গুগল অ্যানালিটিক্স পেমেন্ট
গুগল অ্যানালিটিক্স পেমেন্ট এমন একটি প্রক্রিয়া এটি বিনামূল্যে এবং অর্থ প্রদানের সংস্কারক হিসেবে আসে যাকে গুগল অ্যানালিটিক্স (GA 360) বলা হয়। ছোটখাটো ওয়েব ব্যবসায়ীদের জন্য এটি বিনামূল্যে মাসিক কোন চার্জ ছাড়াই প্রদান করা হয়। তবে আপনি যদি আরো উন্নত বৈশিষ্ট্য চান তবে আপনাকে গুগল এ GA360 এর সদস্য হতে হবে এবং মাসিক অর্থ প্রদান করার মাধ্যমে এ প্রক্রিয়াটি চলমান রাখতে হবে।
গুগল অ্যানালিটিক্স কি কেউ যদি জানে তাহলে অবশ্যই এই অ্যাপসটির সকল সুবিধা নেওয়ার জন্য তার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করবে। কারণ এতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই সুযোগ সুবিধা গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য আপনি জানতে পারবেন। এবং সেই তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করে ওয়েবসাইটের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।
গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করার দুই ধরনের পদ্ধতি রয়েছে প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে আপনি ওয়েবসাইটে ফ্রিতেই ববহার করতে পারবেন। এবং এই ফ্রিতে ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে কি পরিমান ভিজিটর আসছে এবং কোন কোন কনটেন্ট দেখার মাধ্যমে পোস্টগুলো ভিউ করছে। এতে সীমিত আকারে শুধু সুবিধা রয়েছে। কিন্তু যদি আপনি গুগল অ্যানালিটিক্স এর প্রিমিয়াম ভার্সনটি ব্যবহার করেন তাহলে আরো অনেক বেশি সুবিধা পাবেন।
গুগল অ্যানালিটিক্স প্রতি বছর খরচ
গুগল অ্যানালিটিক্স প্রতিবছর কি পরিমাণ টাকা খরচ হতে পারে এই গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করার মাধ্যমে। চলুন জেনে নেয়া যাক। গুগল অ্যানালিটিক্স এর প্রিমিয়াম সংরক্ষণ টির নাম হচ্ছে গুগল অ্যানালিটিক্স 360, এবং এই ভার্সনটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কিছু পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। এবং সেটা নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করবেন সেটার উপর।
ব্যবহারের পরে ডিপেন্ড করবে কারণ যদি বেশি পরিমাণ ব্যবহার করেন তাহলে বেশি বিল দিতে হবে আর যদি কম ব্যবহার করেন তাহলে কম বিল পরিশোধ করতে হবে। এটি প্রতিবছর সর্বনিম্ন 50,000 ডলার থেকে শুরু করে 150,000 ডলার এর বেশি পর্যন্ত যেতে পারে। কেউ ইচ্ছা করলে এই ওয়েবসাইট বিজনেস করার জন্য এবং ভালো মানের বিশ্লেষণ করার জন্য প্রিমিয়াম ভার্সন গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন ছোটখাটো ওয়েবসাইটের জন্য মানুষ গুগল অ্যানালিটিক্স এর প্রিমিয়াম ভার্সন কিনে ব্যবহার করতে চাই। কিন্তু গুগল কর্তৃপক্ষ ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের জন্য ফ্রিতে এই ওয়েবসাইট পরিচালনা করার মত ভার্সন তৈরি করে তাদের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। যাতে গুগল এর প্রত্যেকটা গ্রাহক এই সুবিধাটা ভোগ করতে পারে।
গুগল অ্যানালিটিক্স টুল
গুগল অ্যানালিটিক্স কি এবং গুগল এনালাইটিক্স টুল কি সেই সকল বিষয় সম্পর্কে না জানলে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে জানতে হবে গুগল অ্যানক্স টুল কি তাহলে চলুন জেনি গুগল এনালিটিক্স টুল কি। এবং ব্যবহার করলে কি ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
গুগল অ্যানালিটিক্স হল একটি বিনামূল্যের ওয়েব অ্যানালিটিক্স পরিষবা যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO এবং বিপণনের জন্য ব্যবহৃত মৌলিক বিশ্লেষণ মূলক সামঞ্জস্য এবং পরিসংখ্যান সরবরাহকারী। এই টুলসটি ব্যবহার করে আপনি ওয়েবসাইটের সকল পারফরম্যান্স এবং ভিজিটরদের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে এনালাইসিস করতে পারবেন।
এবং এই টুলস গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আরো সবচেয়ে কার্যকারী যে কাজটি করতে পারবেন সেটা হচ্ছে, আপনার ওয়েবসাইটে কোন ধরনের ভিজিটর আসে এবং কোন ধরনের কিওয়ার্ড পড়ার মাধ্যমে বেশিক্ষণ সময় দেয়। এছাড়াও জানতে পারবেন কোন দেশ থেকে কতজন মানুষ, কি কি ডিভাইস থেকে আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন আর্টিকেল বা তথ্য পড়ছে।
গুগল অ্যানালিটিক্স 4 কিসের জন্য
ওয়েবসাইট ব্যবহার করার জন্য এবং ওয়েবসাইট থেকে ভালো পরিমাণ ইনকাম করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে আপনার অবগত থাকা উচিত। সকল বিষয় সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার ওয়েবসাইটের কি ধরনের কাজ করলে আপনি বেশি ইনকাম করতে পারবেন এবং কোন ধরনের কাজ ভিউয়ারদের কাছে বেশি প্রয়োজনীয় তা আপনি বুঝতে পারবেন।
এই গুগলের অ্যানালিটিক্স কি আশা করি এ বিষয়টি সবাই বুঝতে পেরেছে। এবং কেনই বা গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করব এটি ব্যবহার করলে কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে, যে সুযোগ-সুবিধা গুলোর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি কি একটি ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে রূপান্তর করতে পারবেন। যারা ব্লগ পোস্ট আকারে ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করে তাদের জন্য এই পদ্ধতির অত্যন্ত জরুরী এবং প্রয়োজনীয়।
গুগল অ্যানালিটিক্স এর বর্তমান সংস্করণ
গুগল অ্যানালিটিক্স কি এটা আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি এবং গুগল অ্যানালিটিক্স এর সম্পর্কে যেই তথ্যগুলো জানার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটিকে উন্নতি করতে পারবেন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আমরা জানবো গুগল অ্যানালিটিক্স এর বর্তমান সংস্করণ কি এবং এর কারণ কি, গুগল এনালিটিক্স 4 হলো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পরিমাপক সমাধান।
এবং এটি ইউনিভার্সাল অ্যানালিটিক্স প্রতিস্থাপন করেছে যা আপনার ওয়েবসাইট পরিমাপ বজায় রাখার জন্য আপনার একটি গুগল অ্যানালিটিক্স 4 প্রপার্টির প্রয়োজন হবে। যা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আরো উন্নত এবং ভালো মানের কনটেন্ট রাইটার হতে পারবেন এবং ওয়েবসাইটকে আরো বেশি উন্নত করতে পারবেন।
2005 সালে একটি সংস্করণ করা হয়েছে যে সংস্করণটি বর্তমানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আশা করা যায় গুগল কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে আরো উন্নত মানের গুগল অ্যানালিটিক্স পদ্ধতি আবিষ্কার করবে এবং তার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেবে। যাতে করে সকল ওয়েবসাইট অ্যানালিটিক্স করার মাধ্যমে উন্নত এবং মানসম্মত কনটেন্ট লেখা এবং প্রকাশ করা যায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url