গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়

গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়

গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার সহজ এবং কার্যকর উপায় জানুন। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের আয় বৃদ্ধি করার জন্য

গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়

গুগল এডসেন্স একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম যা আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করার সুযোগ প্রদান করে। এটি অনলাইন আয়ের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম এবং হাজার হাজার ব্লগার ও ওয়েবসাইট মালিকরা এর মাধ্যমে আয় করছেন। এই নিবন্ধে আমরা গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার কার্যকর উপায়গুলি আলোচনা করব।

১. গুগল এডসেন্স কি

গুগল এডসেন্স হল গুগল এর একটি বিজ্ঞাপন প্রদানকারী পরিষেবা যা আপনার ওয়েবসাইটে বা ব্লগে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। এই বিজ্ঞাপনগুলি কনটেন্টের সাথে সম্পর্কিত হয় এবং আপনার দর্শকদের জন্য প্রাসঙ্গিক থাকে। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি প্রতি ক্লিকের উপর আয় করতে পারেন অথবা প্রতি হাজার ইমপ্রেশনের উপর আয় করতে পারেন।

২. গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করুন

গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে হবে। নিচে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি সহজেই একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন:

  1. গুগল এডসেন্স ওয়েবসাইটে যান: Google AdSense এ যান।
  2. সাইন আপ করুন: আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সাইন আপ করুন।
  3. আপনার ওয়েবসাইট যোগ করুন: আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ইউআরএল দিন।
  4. ব্যবহারকারীর তথ্য পূরণ করুন: আপনার ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।
  5. অ্যাকাউন্টের অনুমোদন: গুগল আপনার একাউন্ট পর্যালোচনা করবে
  6. অ্যাকাউন্টের অনুমোদন: গুগল আপনার একাউন্ট পর্যালোচনা করবে এবং অনুমোদনের পরে আপনি বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে পারবেন।

৩. ওয়েবসাইট বা ব্লগের কনটেন্ট উন্নত করুন

এডসেন্স থেকে ভাল আয় করতে হলে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের কনটেন্ট মানসম্মত হতে হবে। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল যা আপনার কনটেন্টকে উন্নত করতে সাহায্য করবে:

  • যথাযথ কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন: আপনার কনটেন্টে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা আপনার টার্গেট দর্শকদের আকর্ষণ করবে।
  • উচ্চ মানের কনটেন্ট তৈরি করুন: আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল কনটেন্ট তৈরি করুন যা পাঠকদের জন্য মূল্যবান।
  • নিয়মিত আপডেট করুন: নিয়মিতভাবে আপনার ওয়েবসাইটে নতুন কনটেন্ট যোগ করুন যাতে দর্শকরা ফিরে আসে।

    ৪. বিজ্ঞাপন স্থাপন করুন

গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন স্থাপন করা খুবই সহজ। আপনি বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলি আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করতে পারেন।

  • বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করুন: গুগল এডসেন্স এর ড্যাশবোর্ড থেকে বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করুন।
  • কোড কপি করুন: বিজ্ঞাপন ইউনিটের কোড কপি করুন।
  • ওয়েবসাইটে পেস্ট করুন: আপনার ওয়েবসাইটের কোডের মধ্যে বিজ্ঞাপন কোড পেস্ট করুন।

    ৫. ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করুন

আপনার ওয়েবসাইটে অধিক ট্র্যাফিক বৃদ্ধি পেলে আপনার বিজ্ঞাপন ক্লিকের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করতে পারেন:

  • এসইও অপটিমাইজ করুন: আপনার ওয়েবসাইটের এসইও উন্নত করুন যাতে সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ র‍্যাঙ্কিং পেতে পারেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার কনটেন্ট শেয়ার করুন।
  • ইমেইল মার্কেটিং: ইমেইল নিউজলেটার প্রেরণ করুন আপনার দর্শকদের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য।

    ৬. আয়ের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করুন

গুগল এডসেন্স এর ড্যাশবোর্ডে আপনি আপনার বিজ্ঞাপনের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে পারবেন। নিয়মিতভাবে আপনার আয় রিপোর্ট পর্যালোচনা করুন এবং প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করুন।

আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে বা গুগল এডসেন্স নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তবে মন্তব্য বিভাগে আপনার প্রশ্ন লিখুন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

আশা করি এই গাইডটি আপনার গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার প্রচেষ্টায় সাহায্য করবে। ব্লগিং বা ওয়েবসাইট পরিচালনায় নতুন, পুরনো সকলের জন্য এটি একটি মূল্যবান সম্পদ হতে পারে। আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের সফলতা কামনায় শুভকামনা রইল।

গুগল এডসেন্সের নীতি ও নিয়মাবলী

  • কপিরাইট আইন: আপনার ওয়েবসাইটে কপিরাইট লঙ্ঘন করা কনটেন্ট ব্যবহার করা যাবে না। সব কনটেন্ট অবশ্যই আপনার নিজস্ব অথবা অনুমোদিত হতে হবে।
  • অপ্রাসঙ্গিক কনটেন্ট: আপনার ওয়েবসাইটে অপ্রাসঙ্গিক বা অশ্লীল কনটেন্ট থাকা উচিত নয়। গুগল এডসেন্স অশ্লীল বা অবৈধ কনটেন্টের জন্য বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে না।
  • বিজ্ঞাপন ক্লিকের প্ররোচনা: আপনি আপনার দর্শকদের বিজ্ঞাপন ক্লিক করতে প্ররোচিত করতে পারবেন না। এটি গুগল এডসেন্সের নীতির বিরোধী এবং আপনার একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • বিজ্ঞাপন স্ট্যান্ডার্ড: বিজ্ঞাপন ইউনিট এবং অবস্থানগুলি গুগল এডসেন্সের স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে হতে হবে। বিজ্ঞাপনগুলিকে সঠিকভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে তারা দর্শকদের জন্য উপকারী হয়।

    গুগল এডসেন্সে সর্বোচ্চ আয়ের কৌশল

    গুগল এডসেন্স থেকে সর্বোচ্চ আয় করতে কিছু কৌশল অনুসরণ করা যেতে পারে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল নিম্নরূপ:

    • বিজ্ঞাপন ধরণের বৈচিত্র্য: বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন ইউনিট ব্যবহার করুন যেমন ব্যানার, টেক্সট, এবং ইন-লাইন বিজ্ঞাপন। এটি আপনার বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের বিভিন্ন উপায় প্রদান করবে এবং আয় বাড়াতে সাহায্য করবে।
    • বিজ্ঞাপন অবস্থান অপ্টিমাইজ করুন: আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনগুলির অবস্থান কৌশলগতভাবে নির্বাচন করুন। বিজ্ঞাপনগুলি এমন জায়গায় স্থাপন করুন যেখানে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে।
    • বিশ্লেষণ করুন: নিয়মিতভাবে আপনার গুগল এডসেন্স রিপোর্ট বিশ্লেষণ করুন। কোন ধরনের বিজ্ঞাপন সবচেয়ে বেশি কার্যকর তা বুঝতে চেষ্টা করুন এবং সেই অনুযায়ী আপনার কৌশল পরিবর্তন করুন।
    • দর্শক বিশ্লেষণ: আপনার দর্শকদের প্রেফারেন্স বোঝার জন্য তাদের আচরণ বিশ্লেষণ করুন। এটি আপনাকে এমন কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে যা দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় হবে।

    আমাদের ব্লগে আরও অনেক ব্যবহারিক পরামর্শ এবং টিপস রয়েছে যা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের সফলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। আমাদের সাইটে নিয়মিতভাবে ভিজিট করুন এবং সর্বশেষ আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।

    আপনার অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ শেয়ার করতে মন্তব্যে লিখুন এবং আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনার ব্লগিং যাত্রার জন্য শুভকামনা!

    ব্লগারদের জন্য অতিরিক্ত টিপস

    গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় বাড়ানোর জন্য ব্লগারদের জন্য কিছু অতিরিক্ত টিপস এখানে দেওয়া হলো:

    • মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন: আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন মোবাইল-ফ্রেন্ডলি করুন। অধিকাংশ ব্যবহারকারী মোবাইল ডিভাইসে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে, তাই মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন নিশ্চিত করতে হবে।
    • লোডিং স্পিড উন্নত করুন: ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড দ্রুত করুন। ধীরগতির ওয়েবসাইটের কারণে দর্শকরা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে এবং এটি আপনার বিজ্ঞাপন ক্লিকের সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
    • কনটেন্ট ডাইভার্সিফিকেশন: আপনার কনটেন্টের ধরন পরিবর্তন করুন। টেক্সট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স, ইত্যাদি ব্যবহার করে কনটেন্ট তৈরি করুন যা দর্শকদের আকর্ষণ করবে।
    • রিসার্চ করুন: আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের গবেষণা করুন। তারা কোন ধরণের কনটেন্ট পছন্দ করে এবং কিসে আগ্রহী তা বোঝার চেষ্টা করুন।
    • কম্পিটিটর অ্যানালাইসিস: আপনার প্রতিযোগীদের বিশ্লেষণ করুন। তারা কিভাবে বিজ্ঞাপন স্থাপন করছে এবং কোন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করছে তা দেখুন। এটি আপনাকে আপনার কৌশল উন্নত করতে সাহায্য করবে।

    ইমেইল সাবস্ক্রিপশন এবং নিউজলেটার

    আপনার দর্শকদের জন্য একটি ইমেইল সাবস্ক্রিপশন ফর্ম যুক্ত করুন। এতে আপনার পাঠকরা আপনার নতুন কনটেন্ট সম্পর্কে জানাতে পারবেন এবং নিয়মিত আপডেট পেতে পারবেন। একটি কার্যকর নিউজলেটার পাঠক রিটেনশন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করতে পারে।

    ইমেইল সাবস্ক্রিপশন ফর্মে আপনার পাঠকদের তাদের ইমেইল ঠিকানা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করার সুযোগ দিন এবং তাদেরকে আপনার নতুন ব্লগ পোস্ট, অফার, বা আপডেট সম্পর্কে জানান। এটি আপনার ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

    গুগল এডসেন্স এর নীতিমালা অনুসরণ করা

    গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার সময় আপনাকে গুগল এর নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। নীতিমালার লঙ্ঘন করলে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড হতে পারে। নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং আপনার একাউন্ট নিরাপদ রাখতে গুগল এডসেন্সের অফিসিয়াল নীতি পেজ পড়ুন।

    আপনার ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের জন্য আরও প্রস্তাবনা

    আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের সাথে জড়িত অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়েও ভাবুন যেমন:

    • ওয়েবসাইট সিকিউরিটি: আপনার ওয়েবসাইট সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এটি দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে।
    • রেটিং ও রিভিউ: আপনার ব্লগের পাঠকদের কাছ থেকে রেটিং এবং রিভিউ সংগ্রহ করুন। এটি আপনার কনটেন্টের মান যাচাই করতে এবং উন্নত করতে সাহায্য করবে।
    • মোবাইল অপ্টিমাইজেশন: মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়েবসাইটের অভিজ্ঞতা উন্নত করুন। অধিকাংশ ব্যবহারকারী এখন মোবাইল ডিভাইসে ব্রাউজ করে, তাই মোবাইল অপ্টিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ।

    আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের উন্নতি করার জন্য এই পরামর্শগুলি কার্যকর হতে পারে। সঠিক কৌশল ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে আরও বেশি আয় করতে পারবেন। আপনার ব্লগিং যাত্রার জন্য শুভকামনা।

    ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করা

    ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (UX) উন্নত করা গুগল এডসেন্সের আয়ের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা আপনাকে সাহায্য করবে:

    • নেভিগেশন সহজ করুন: আপনার ওয়েবসাইটের নেভিগেশন সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব করুন। দর্শকরা দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেতে পারলে তারা বেশি সময় ওয়েবসাইটে কাটাবে।
    • অ্যাক্সেসিবিলিটি বৃদ্ধি করুন: আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাক্সেসিবিলিটি নিশ্চিত করুন। এমন ডিজাইন ব্যবহার করুন যা বিভিন্ন ডিভাইসে ভালোভাবে কাজ করে এবং ভিজুয়াল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ব্যবহারকারীদের জন্যও সুবিধাজনক।
    • নেটিভ কনটেন্ট এবং বিজ্ঞাপন: কনটেন্ট এবং বিজ্ঞাপনগুলি এমনভাবে ডিজাইন করুন যাতে তারা ওয়েবসাইটের সাধারণ ধারণার সাথে মেলে। এটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করবে এবং বিজ্ঞাপন ক্লিকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে।
    • ক্রস-ব্রাউজার সামঞ্জস্য: আপনার ওয়েবসাইট বিভিন্ন ব্রাউজারে পরীক্ষা করুন এবং নিশ্চিত করুন যে এটি সকল প্রধান ব্রাউজারে সঠিকভাবে কাজ করে।

    গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয়ের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা অর্জন

    গুগল এডসেন্স থেকে সর্বোচ্চ আয় করার জন্য নিয়মিতভাবে কিছু কৌশল এবং টিপস অনুসরণ করা উচিত:

    • অ্যাডস্টাইল এবং লেআউট পরীক্ষা করুন: বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন স্টাইল এবং লেআউট পরীক্ষা করুন এবং দেখুন কোনটি আপনার দর্শকদের জন্য সবচেয়ে কার্যকর।
    • বিজ্ঞাপন অবস্থান নিয়ে পরীক্ষা করুন: বিজ্ঞাপনগুলো ওয়েবসাইটের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর করে পরীক্ষা করুন এবং নির্ধারণ করুন কোন অবস্থান আপনার আয় সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি করে।
    • ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করুন: আপনার ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করুন এবং তাদের ফিডব্যাকের ভিত্তিতে আপনার ওয়েবসাইট এবং বিজ্ঞাপন কৌশল উন্নত করুন।
    • বিশ্লেষণাত্মক টুলস ব্যবহার করুন: গুগল অ্যানালিটিক্সসহ অন্যান্য বিশ্লেষণাত্মক টুলস ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করুন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করুন।

    গুগল এডসেন্স এর বিকল্প এবং অন্যান্য আয়ের উৎস

    গুগল এডসেন্স একমাত্র আয়ের উৎস নয়। আপনি অন্যান্য বিকল্প ও আয়ের উৎস বিবেচনা করতে পারেন:

    • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করুন এবং প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রমোশন করুন। বিক্রি হলে কমিশন পাবেন।
    • স্পন্সরড কনটেন্ট: আপনার ওয়েবসাইটে স্পন্সরড কনটেন্ট বা বিজ্ঞাপন পোস্ট করুন। এটি আপনাকে নির্দিষ্ট কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের কাছ থেকে সরাসরি আয় এনে দিতে পারে।
    • ডিজিটাল প্রোডাক্টস: ই-বুক, কোর্স, বা সফটওয়্যার বিক্রি করুন। আপনার নিজস্ব ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করে বিক্রি করলে ভাল আয় হতে পারে।
    • সাবস্ক্রিপশন মডেল: আপনার ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রিপশন মডেল প্রবর্তন করুন। বিশেষ কনটেন্ট বা সুবিধার জন্য ব্যবহারকারীরা সাবস্ক্রাইব করতে পারে।

    আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ

    এখন যে সব টিপস এবং কৌশল শিখেছেন, সেগুলি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করার সময় এসেছে। আপনাকে গুগল এডসেন্সে সফলতা অর্জনের জন্য ধৈর্য এবং নিয়মিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

    গুগল এডসেন্স ব্যবহার শুরু করার পরে, আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করুন এবং কৌশলসমূহ আপডেট করুন। আপনার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে আরও বেশি আয় করতে সক্ষম হবেন।


    FAQ

    ১. গুগল এডসেন্স দিয়ে কি আমি শুধু ক্লিকের জন্য আয় করতে পারি?

    হ্যাঁ, গুগল এডসেন্স আপনাকে ক্লিকের জন্য আয় করার সুযোগ প্রদান করে। এছাড়াও, আপনি প্রতি হাজার ইমপ্রেশনের জন্যও আয় করতে পারেন।

    ২. গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার জন্য কি কোনো বিশেষ যোগ্যতা প্রয়োজন?

    গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি বৈধ ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকতে হবে এবং আপনার কনটেন্টের গুণমান ভালো হতে হবে।

    ৩. গুগল এডসেন্স থেকে আয় কিভাবে পাওয়া যায়?

    আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় হলে গুগল আপনাকে পেমেন্ট প্রদান করবে। সাধারণত প্রতি মাসের শেষে আয় জমা হয়।

    ৪. গুগল এডসেন্স কি বিশ্বব্যাপী উপলব্ধ?

    হ্যাঁ, গুগল এডসেন্স বিশ্বব্যাপী উপলব্ধ। তবে কিছু দেশের জন্য নির্দিষ্ট শর্তাবলী থাকতে পারে।

     লেখক এর শেষ মন্তব্য

গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার একটি সহজ এবং কার্যকর উপায়। সঠিক কৌশল অনুসরণ করলে এবং নিয়মিতভাবে চেষ্টা করলে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে সুন্দর আয় করতে সক্ষম হবেন। আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট উন্নত করুন, ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করুন এবং বিজ্ঞাপন পরিচালনায় মনোযোগ দিন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url